সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১, ০৪:২০ অপরাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এম টিভি বাংলা ও জাতীয় দৈনিক প্রথম ভোর পত্রিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এবং জেলা স্বাধীন প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আলমগীর হোসেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার আমনুরা এলাকার শিমুলতলা মোড়ে।
শনিবার ৮ জুন ২০১৯ ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে আমনুরা এলাকার সাইফুদ্দিন পাড়া গ্রামের শ্যামলী বেগমের বাসায় মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় সাংবাদিক আলমগীর। কিন্তু শ্যামলী ক্যামেরার সামনে কোন বিষয়ে কথা বলবো না বলে জানায়।
ফলে সেখান থেকে ফিরে এসে শিমুলতলা মোড়ে রাত ৯ টার দিকে শাহজামালের চা দোকানে চা খাওয়ার সময় ফুড অফিস মোড়ের মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের ছেলে মোঃ নিয়ামুল (২৮)’ মুঠোফোনে হুমকী দিতে থাকে এবং তারই নেতৃত্বে মৃত হাফিজের ছেলে হাসান আলী (২৪)’ এবং শুভ সহ আমনুরা সাইফুদ্দিন পাড়ার বেশ কিছু বখাটে যুবক ও কুচক্রের লোকজন দোকানে প্রবেশ করে কিল ঘুষি মেরে সাংবাদিক আলমগীরের সাথে থাকা একটি ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ক্যামেরা ও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এবং সাংবাদিক আলমগীরকে হুমকি দিয়ে বলে মামলা হলে খুন জখম করে ফেলবো।
এ ঘটনার পরে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রবিবার বিকেলে সদর মডেল থানায় হুকুমদাতা নিয়ামুলসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করে।
এ বিষয়ে আমনুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার নির্দেশ ক্রমে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে ২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় সোপর্দ করে এবং গ্রেপ্তার অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এই বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান সাংবাদিক আলমগীর হোসেন কে মুঠোফনে ৯ই জুন রাত্রি সময় ১০.১০ মিনিটে আসামি পক্ষের সাথে আপোষ করার প্রস্তাব দেন। এবং বলেন আপোষ না করিলে আসামিগন আপনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করবেন এর পর রাত্রি কালীন সময়ে গ্রেপ্তারকৃত ২ জন আসামি কে ছেড়ে দেন।
আসামি ছাড়ার বিষয়ে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামি গ্রেপ্তার করলামই বা কখন আর ছাড়লামই বা কখন এবং আসামি গ্রেপ্তারের নিশ্চয়তা কি আমি আপনাকে প্রদান করেছি এর প্রতিউত্তরে সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন আমনুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীর আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমাকে। এর ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান সাংবাদিক আলমগীর হোসেন এর এজাহার লিপিবদ্ধ করেন। এবং সাংবাদিক আলমগীর হোসেন এর এজাহার দায়ের এর ১ দিন পর আসামি পক্ষের মিথ্যা মামলা লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ জিয়াউর সাংবাদিক এর উপর হামলা করার বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য: নিয়ামুল এবং হাসানের নামে পূর্বের একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে
© কপিরাইট : খন্দকার মিডিয়া গ্রুপ
বাল্যবিবাহ রোধ করুন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ুন।