বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকে :
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নড়াইলে ভারতীয় লোকসভার সদস্য শান্তনু ঘোষকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। নড়াইলের মহাজন এলাকায় বিশ্বজিৎ সাহার বাংলো চত্বরে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ সময় নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি মতুয়াচার্য শান্তনু ঘোষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নড়াইলের কালিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ হাদিউজ্জামান, প্রকাশ কুমার সাহা, শঙ্ক ঘোষ প্রমুখ। এদিকে একই স্থানে মতুয়া মহাসম্মেলনের উদ্বোধন করেন নড়াইলের জয়পুর ধামের পরীক্ষিত শিকদার। এ উপলক্ষ্যে নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মতুয়া স¤প্রদায়ের লোকজন সকাল থেকেই বিশ্বজিৎ সাহার বাংলো চত্বরে জড়ো হয়। এছাড়া খাবারের আয়োজন করা হয়। মহাজন এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহার উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। নড়াইলে ভারতীয় লোকসভার সদস্য শান্তনু ঘোষ বলেন প্রতিটা হিন্দু বাড়িতে সকাল ও সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজানো একটা রীতি। শঙ্খ কিন্তু তিনবার বাজানো হয়। তিনবারের বেশি বাজানো হয় না। কিন্তু জানেন কি, শঙ্খ কেন তিনবার বাজানো হয়? তিন বারের বেশি কেন বাজানো হয় না? হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ আজকের নয়। সেই কোন প্রাচীন কাল থেকে পুজো-অর্চনার কাজে লেগে আসছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ আজকের নয়। শাস্ত্র মতে নিত্য পুজোর পরে যদি নিয়ম করে তিনবার শঙ্খ বাজানো যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে অশুভ শক্তির প্রভাব কমতে থাকে এবং শুভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ভাগ্যও ফিরে যায়। ফলে জীবন সুখ-শান্তিতে এবং আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। শঙ্খ কিন্ত ৩ বার বাজানো হয়। কিন্তু কেনো ? শাস্ত্রে বলা হয় বাড়িতে শঙ্খ তিনবার বাজানো উচিত। তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজানো উচিত নয়। এর কারণ হিসেবে শাস্ত্রে বলা হয় যে, তিনবার শঙ্খ বাজালে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ এই তিন দেবতার সাথে সমস্ত দেবদেবীরা আমন্ত্রিত হন। কিন্তু তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজালে দেবের সাথে দানব বা অসুরকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে বলা হচ্ছে যে, সমুদ্র মন্থনের সময় অসুররা চারবার শঙ্খধ্বনি করে “বলি অসুর” কে নিমন্ত্রণ পাঠিয়ে জাগ্ত করেছিল। তাই, তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজালে সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের দেবতা মহাদেব, বিষ্ণু, ব্রহ্মার পাশাপাশি আসুরি শক্তিও নিমন্ত্রণ পেয়ে আপনার গৃহে প্রবেশ করে। দেবতার পাশাপাশি অসুরকে নিমন্ত্রণের ফল স্বরূপ আপনার ও আপনার পরিবারের উপর নেমে আসতে পারে এইসব দেবতাদের অভিশাপ। তাই শাস্ত্রে তিনবার করেই শঙ্খ বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
সাইবার নিউজ একাত্তর/ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং/ আব্দুর রাজ্জাক(রাজু)
© কপিরাইট : খন্দকার মিডিয়া গ্রুপ
বাল্যবিবাহ রোধ করুন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ুন।