শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০১:৫১ অপরাহ্ন
এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
আজ ১৪ নভেম্বর ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের প্রথম হানাদারমুক্ত হয় উপজেলাটি।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভূরুঙ্গামারী আক্রমনের পরিকল্পনা করার পর সেক্টর কমান্ডার এমকে বাশার, মিত্র বাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জোসি সহ উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টরে যান। এসময় ভারতীয় ষষ্ঠ মাউন্টেন ডিভিশনের একটি ব্রিগেড এবং বিএসএফ’র কয়েকটি কোম্পানী সার্বিক সামরিক সজ্জায় সজ্জিত হয়ে ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ দিক খোলা রেখে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিক থেকে একযোগে আক্রমনের সিন্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক ১৩ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ নেতৃত্বে প্রবল আক্রমণ শুরু হয়।
অবশ্য এর একদিন আগে থেকেই মিত্র বাহিনী কামান ও মর্টারের গোলা বর্ষণসহ মিত্র বাহিনীর বিমান শত্রæদের ওপর গোলা নিক্ষেপ শুরু করে। ১৪ নভেম্বর ভোর হওয়ার আগেই পাকবাহিনীর গোলা বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই দিন ভোরে মুক্তিবাহিনী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে সিও অফিসের (বর্তমান উপজেলা পরিষদ) সামনে গিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করে।
এখান থেকে ৩০/৪০ জন পাক সেনা আটক করা হয় এবং তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ১৬ জন বীরাঙ্গনাকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৫/৬ জন বীরাঙ্গনা গর্ভবতী ছিলেন। শুধু তাই নয়, তখন বাংকার থেকে পাক ক্যাপ্টেন আতাউল্লা খান এবং বুকে জড়ানো অবস্থায় একজন (বীরঙ্গনা) মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রতি বছর প্রেসক্লাব ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।
সাইবার নিউজ একাত্তর / ১৪ই নভেম্বর ২০১৯ইং আব্দুর রাজ্জাক (রাজু)
© কপিরাইট : খন্দকার মিডিয়া গ্রুপ
বাল্যবিবাহ রোধ করুন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ুন।