মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
মোঃ হানিফ সরকার, রাজশাহী থেকে :
বড় ভাইয়ের বদলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি সজল মিয়া (৩৪) এখন কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। গত ৩০ এপ্রিল গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। এরপর থেকেই কারাগারে তাকে এই কাজ করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার ১১ জুন ২০১৯ ইং দুপুরে শুনানির জন্য তাকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রথম হাজির করা হয়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে সজল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, কোনো দোষ করিনি, আমি আসামি না, তারপরেও আমি কয়েদি হয়ে কারাগারে আছি। সজলের এ দাবি ঠিক কিনা তার শুনানির জন্য মঙ্গলবার তাকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (প্রথম) হাজির করা হয়, কিন্তু আদালত না বসায় তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সজলের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বিচারক বুধবারই শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দিতে বলেছেন আদালতের পেসকারকে।
সে অনুযায়ী, বুধবার সজলকে আবার কারাগার থেকে আদালতে আনা হবে। তবে আদালতের পক্ষ থেকে শুনানির দিনে পুলিশকে তলব করা হয় নি। আদালতের কাঠগড়া থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে নিজেকে আবারও ‘সজল’ দাবি করেন তিনি। তার বক্তব্য, বাদীপক্ষের প্ররোচণায় পুলিশ বড় ভাই ফজলের বদলে তাকে ধরেছে।
ভুক্তভোগী সজল মিয়ার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম তোফাজ উদ্দিন। সজলের বড় ভাইয়ের নাম সেলিম ওরফে ফজল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফজল দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক।
ফজলের অনুপস্থিতিতেই ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট মামলার রায় হয়। সেদিন অন্য চার আসামি খালাস পান। দীর্ঘ ১০ বছর পর গত ৩০ এপ্রিল সজলকে গ্রেপ্তার করে মহানগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশ। ‘সেদিন তাকে ফজল’ হিসেবেই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে গত ২৬ মে সজল তার আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, আসামি বড় ভাইয়ের পরিবর্তে তিনি জেল খাটছেন। এর শুনানির দিন ধার্য ছিলো মঙ্গলবার।
শাহ্ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, তারাও চান না যেকোনো নির্দোষ ব্যক্তি সাজা খাটুক। কিন্তু গ্রেপ্তার আসামি যে ফজল সে ব্যাপারে মামলার সাক্ষীরা এফিডেফিট করে দিয়েছেন। সেটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তবে আদালতের শুনানিতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে যে আসল আসামি আসলে কে?
সাইবার নিউজ একাত্তর/ ১২ জুন, ২০১৯ ইং/হাফিজুল
© কপিরাইট : খন্দকার মিডিয়া গ্রুপ
বাল্যবিবাহ রোধ করুন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ুন।