সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১, ০৩:১১ অপরাহ্ন
মনিরুল ইসলাম নাচোল, (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেক :
খুলনা-রহনপুর, ভায়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ গামী রাতের মহানন্দায় ট্রেনে রাজশাহী র্কোট থেকে কাকন হাট স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীদের চলছে রমরমা নেশের বানিজ্য। কেউ খাচ্ছেন গাজা, কেউ খাচ্ছেন ফেন্সিডিল, আবার কেউ খাচ্ছেন ইয়াবা! প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এসব মাদক দ্রব্য। অথচ আইন শৃংখলা বাহীনির নেই কোন উদ্যোগ। যাত্রীরা হয়ে পড়েছে অতিষ্ঠ! কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার ভুক্তভোগী যাত্রীসাধারণ’রা।
অভিযোগে জানাগেছে, রাত্রী কালীণ সময়ে মহানন্দা এক্্রপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন রাতে খুলনা-রহনপুর, ভায়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে’র পথে চলাচল করে। ট্রেনটি প্রতিরাতে খুলনা থেকে রাজশাহী কোর্ট স্টেশনে পৌছিলে চব্বিশ নগর, কাকনহাটসহ বেশ কয়েকটি স্টেশনের ৪০/৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠে পড়ে। যাত্রীরা অধিকাংশই রিক্্রাচালক বলে জানাগেছে। এসকল যাত্রীরা কোট স্টেশনে ট্রেনে ওঠার পর ট্রেনটি যেন তাদের বাব-দাদার পৈত্রিক ট্রেন মনে করে ট্রেনের উপর গাাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করেন আর হৈ চৈ করে সময় পার করেন। সেই সাথে অশ্লীল কথাবার্তা, কু-রুচিপূর্ণ গান গেয়ে যা ইচ্ছে তাই করেন তারা, আর সাধারণ যাত্রিরা তা নিরবে শয্য করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ট্রেনটি প্রাইভেট সেক্টরে চলার কারনে ট্রেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিটিসিরা নিজেদের নিরাপত্তার সার্থে নেশাখোরদের তেমন কিছু বলতে পারেন না। কারণ ওই নেশাখোর’রা হলেন ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী। নেশাখোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার কপালে জুটে মারধর কিংবা অশ্লীল ভাষায় গালমোন্দ।
নেশা সেবন কারিদের বিরুদ্ধে ট্রেনেরে যাত্রীরা ভয়ে কউে মুখ খুলতে পারেন না, কারন যাত্রীরা একক আর নেশা সেবন কারী ও বিক্রেতাদের দল অনেকটা ভারী।
এদিকে নাচোল বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ী ওই ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী, গাঁজার গন্ধ বাঁচাতে মুখে কাপড় দিয়ে কথা বলেন এ প্রতিবেদকের সাথে, বলেন এ অবস্থা আজ নতুন নয়, মাদক সেবন কারীদের কারনে প্রতিদিন মুখ ঢেকে এ পথে যাত্রা করতে হচ্ছে । প্রতিবাদ করে কোন লাভ নেই।
ট্রেনের টিটিসি নিলফামারীর নুরুন্নবী জানান, প্রতদিনিই এমন দৃশ্য দেখি, কিন্তু মাদক সেবন কারীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় প্রতিবাদ করে লাভ নেই। আমনুরার বাদামওয়ালা দুলাল জানান, কিছু করার নেই ভাই, এরা সংখ্যায় অনকে। সু-কৌশলে, নেশাখোরদের মধ্যে কাকন পৌরসভার বাউপুর গ্রামরে একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রকিশাচালক, প্রতদিনি ৩০-৪০ জন রাত করে বাসায় ফিরি। সারাদনিরে ক্লান্তি কাটাতেই একটুখানি ছাইপাঁশ খেয়ে দেহের ক্লান্তি দুর করি।
ট্রেনে অবস্থানরত আরও কয়েকজন যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলনে, এমন কাজ তারা র্দীঘ দিন ধরে করে আসছনে। রেল কর্তৃপক্ষকে বলেও এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী জি আর পি থানার ওসি সাঈদ ইকবালের সাথে শনিবার ২৫শে মে ২০১৯ ইং সকাল ১০ টায় মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজশাহী থেকে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে রহনপুর যাওয়ার সময় ট্রেনে পুলিশ থাকেনা আর নেশা খোররা এ সুযোগে এ অপকর্ম গুলো করে থাকে তবে শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইবার নিউজ একাত্তর/২৫শে মে, ২০১৯ ইং/হাফিজুল
© কপিরাইট : খন্দকার মিডিয়া গ্রুপ
বাল্যবিবাহ রোধ করুন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ুন।