রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
মাইনুর রহমান মিন্টু, (রাজশাহী) সিট কর্পোরেশন থেকে :
রাজশাহী মহানগরীতে ফুটপাত বা জনগণের চলাচলের রাস্তা দখল করে ব্যাবসার কালচার অন্যান্য শহরের তুলনাই একটু বেশীই বলা যায়।কারণ রাজশাহী বিভাগীয় শহর হলেও এখানে শিক্ষা নির্ভর সব কিছু, এজন্য অনেকেই শিক্ষা নগরী বলে রাজশাহীকে অভিহিত করে।শিল্প প্রতিষ্ঠান আশানুরূপ গড়ে না উঠাই এখানে বেকারত্বের হার আশঙ্কাজনক।তাই রাস্তা বা ফুটপাত দূরের কথা এই শহরে ভূমি দস্যু কম না।
এক সময়ের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা, ৪৭ পরবর্তী ভূমি ব্যাবস্থাপনা ফিরিস্তি বলতে গেলে ভোর হয়ে যাবে। সম্প্রতি রাজশাহী সিটি করপোরেশন ঘটা করে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিষ্ট্রেট এর নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন এলাকায় চালিয়ে অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। পাশাপাশি অনেককে আবার বলতে শোনা গেছে গরীবের পেটে লাথি মারা হচ্ছে।যায় হোক উচ্ছেদ অতীতে বহু হয়েছে এটাও কি সেই ধরনের?নগরবাসীর প্রশ্ন! বর্তমান সরকার এই মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি, মাদক, ভূমি দস্যু এদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলে অনেক দেশপ্রেমিক নাগরিক আশায় বুক বাঁধে।এবার কিছু হলেও হতে পারে, রাজশাহী মহানগর এর ব্যাতিক্রম নয়। টানা কয়েক দিনের উচ্ছেদ অভিযান সফল বলা যায়।
কারণ প্রশাসনের জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২ য়/৩ য় দিনের পর অনেকে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ে নিজেরাই ভেঙ্গে ফেলেছেন।কোথাও ৮০ভাগ আবার কোথাও ২০ ভাগ, এখনও ঐ অবস্থায় পড়ে আছে।কোথাও ঐ ভাবেই আবার দোকান চালাচ্ছে দেখার কেউ নেই।তারপর ভাঙ্গার পর সংশ্লিষ্ট রাস্তা বা ফুটপাত থেকে বর্জ সরানো হয় নাই বা তা জনগণের চলাচলের উপযোগী করা হয় নাই।দখলদাররা নিয়মিত আশপাশে ঘুরছে।যে কোন সময় আবার স্থায়ী ভাবে গেড়ে বসলো বলে।বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানতে চান বর্জ সরানো বা অভিযান পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কে?
তারা এক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা কে দায়ী করেছেন এবং পুরোটা না ভাঙ্গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।সমস্ত ভাঙ্গা বর্জ সরিয়ে বা যেখানে পুরোটা ভাঙ্গা হয়নি সেখানে ভাঙ্গা কমপ্লিট করে তা জনগণের চলাচলের উপযোগী করার জোর দাবী জানান।উচ্ছেদের পরে কি ভাবে নগরীর বিভিন্ন মোড় সহ গুরুত্তপূর্ণ জায়গাগুলোতে আবার পূর্বের রূপে ফিরে যায়?
এটা অনুসন্ধান করতে নেমে এমন তথ্য পাওয়া যায় যা এই নগরীর অনেক নাগরিকের ধারণাই নেই।থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে এর নেপথ্যে রয়েছে পুলিশ।রক্ষক যেখানে ভক্ষক।প্রতিটি গুরুত্তপূর্ণ জায়গায় যে হকার গুলো বসে তাদের প্রত্যেকের কাছে প্রতিদিন ভাড়া নেওয়া হয়।যেমন লক্ষ্মীপুর চিকিৎসা জনিত কারণে একটি গুরুত্তপূর্ণ প্লেস সন্দেহ নাই।এখন দেখা গেল এদিক সেদিক মিলিয়ে ১০০ হকার আছে।তাদের মধ্যে থেকে প্রতিদিন ২০/৫০/১০০ টাকা তোলার দায়িত্ব একজন হকারকে দায়িত্ব দেয়া থাকে পুলিশ প্রশাসনের থানা বা ফাড়ি এসে টাকাটা নিয়ে যায় কোথাও থানা বা কোথাও ফাঁড়ি।রাজশাহী কোর্ট চত্বর থেকে প্রতিটি হকার অধ্যুষিত এলাকায় একই চিত্র। অথচ কোন হকার মুখ খুলতে চাই না।এভাবে আর কতদিন চলবে সেটাই জনগণের প্রশ্ন।তাই ফুটপাত,রাস্তা দখলকারী ব্যাবসায়ী বা হকার কোনদিন উচ্ছেদ না বলে ১০০ জনের মধ্যে ৯১ জন মন্তব্য করেন
© কপিরাইট : খন্দকার মিডিয়া গ্রুপ
বাল্যবিবাহ রোধ করুন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ুন।